
চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায় মুমিনুল হক।
টাইগারদের হয়ে এই ম্যাচে ওপেনিং জুটি হিসেবে উদ্বোধনী শুরু করেন সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটের পতন দেখতে হতো বাংলাদেশের। সেদিক থেকে সাদমান ইসলামকে ভাগ্যবান বলাই যায়।
প্রথমবার এভাবেই রক্ষা পান সাদমানশাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই সাদমানের ব্যাটের কোনায় লেগে বল চলে যায় পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে।
কিন্তু পাকিস্তানি পেসার, উইকেটরক্ষক বা দলের ফিল্ডাররা কেউ সেটা টের পায়নি। ফলে ক্যাচের আপিলও করেননি। পরবর্তীতে টিভি রিপ্লাইয়ে দেখা যায় বলটি সাদমানের ব্যাট ঘেষে সরাসরি চলে যায় উইটেকরক্ষকের হাতে।
এ যাত্রায় বেঁচে যান সাদমান। নয়তো রানের থাতা না খুলেই তাকে ফিরতে হতো প্যাভিলিয়নে।দ্বিতীয়বারও এভাবে বেঁচে যান সাদমানএখানেই শেষ নয়। সাদমান জীবন পেয়েছেন আরও একবার। হাসান আলীর চতুর্থ ওভারে সরাসরি একটি ডেলিভারি সাদমানের প্যাডে আঘাত করে।
আউটের আপিল জানালে আম্পায়ার সেটা নাকচ করে দিলে পাকিস্তানের সুযোগ ছিল রিভিউ গ্রহণ করার। কিন্তু হাসান ও বাবর সিদ্ধান্ত নেন রিভিউ না নেওয়ার। পরবর্তীতে টিভি রিপ্লাইয়ে দেখা যায় সাদমানের প্যাডে লাগা ডেলিভারিটি সরাসরি স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। তার মানে রিভিউ নিলেই তার উইকেটের পতন ঘটতো। পাকিস্তানি অধিনায়ক ও বোলারের ভুল সিদ্ধান্তে এ যাত্রায়ও বেঁচে ফেরেন সাদমান।
তবে দুইবার সুযোগ পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। সেই হাসান আলির বলেই ইনিংসের ৮ম ওভারে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে ফিরেছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান।
বাংলাদেশ একাদশ: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন চৌধুরী, আবু জায়েদ রাহী ও ইয়াসির আলি রাব্বি।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, আব্দুল্লাহ শফিক, আবীদ আলী, আজহার আলী, ফাহিম আশরাফ, ফওয়াদ আলম, হাসান আলী, নোমান আলী, সাজিদ খান ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।
Leave a Reply